ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে ডাকাত দল নারী যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করার সময় শারীরিক স্পর্শে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।”
পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার সময় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার কর্মকর্তা আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন:
তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি এবং ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসটি মির্জাপুর এলাকায় পৌঁছালে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, ডাকাত দল দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।
পরবর্তীতে বাসযাত্রীরা নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার পুলিশের সহায়তা নেন। ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব এবং হেলপার সুমনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।
ঘটনার কয়েকদিন পর, বৃহস্পতিবার রাতে বাসযাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: