বরিশাল নগরীর চৌ-মাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দুই লেনের হলেও একাংশ সংকুচিত হয়ে এক লেনে পরিণত হয়েছে।
এটি শুধু একক ঘটনা নয়; বরিশালের আরও বহু প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিলনায়তন, সেতু ও সরকারি ভবনের নাম তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “নিজের টাকায় নিজের জমিতে প্রতিষ্ঠান গড়ে নামকরণ করা হলে প্রশ্ন উঠত না। কিন্তু অনেক ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।”
বরিশালের ঐতিহাসিক সরকারি বরিশাল কলেজের নাম পরিবর্তনেরও চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা যায়, তবে জনসাধারণের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি।
শুধু বরিশাল নগরী নয়, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়াতেও একই ধারা অব্যাহত ছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনকি কিছু সরকারি নথিতে পুরনো নাম থাকলেও, সাইনবোর্ডে নতুন নাম বসানোর অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কিছু প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত আসার পরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”
নাম পরিবর্তনের এসব ঘটনায় বরিশালে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নাগরিক সমাজের দাবি, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক এবং সরকারি স্থাপনার নামকরণে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হোক।
এসআর
মন্তব্য করুন: