[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ হত্যা করেছে শেখ হাসিনা: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩:৩৯ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা তার শাসনামলে ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত মানুষ হত্যা করেছেন।

 তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসন ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি দুঃসহ সময়, যেখানে মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ এবং পায়ে ছিল বেড়ি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "ভিন্নমত ও ভিন্ন আদর্শের ঊর্ধ্বে আমাদের দেশ। আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে কিছু অন্তরায় দেখা যাচ্ছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক চাওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু ভূমিকা অত্যন্ত উসকানিমূলক ও অগ্রহণযোগ্য ছিল। তারা মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে এবং সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশ করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।"

তিনি আরও বলেন, "১৭ বছর ৬ মাসে আমাদের জাতি বন্দিত্বের শৃঙ্খলে বন্দি ছিল। ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিল। এমনকি যে মানুষ রাস্তায় ভিক্ষা করতেন, তিনিও মজলুম ছিলেন, কারণ তাদের চাঁদা দিতে হতো গুণ্ডাদের কাছে।"

জামায়াত আমির আরও উল্লেখ করেন, "২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়। এটি ছিল ফ্যাসিবাদের সূচনা, স্বৈরাচারের পদধ্বনি।"

তিনি বলেন, "এরপর ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ওপর আঘাত হেনেছিলেন। পিলখানায় ৫৪ জন দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসারকে হত্যা করা হয় এবং তাদের পরিবারদের নির্যাতন করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। একইভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের ১৫ হাজার সদস্যের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয় এবং ৫০০ মানুষ নিহত হয়।"

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, "এই ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জন্য ছিল এক দুঃসহ সময়। তবে, জামায়াতে ইসলামী কখনো ভেঙে যায়নি, তা শুধু দেশের শত্রুরাই জানে।"

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ আবদুর রব এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড. জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৯ বছর পর শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন। কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে উৎসুক কর্মীরা জেলাজুড়ে পোস্টার-ব্যানার এবং মহাসড়কে ব্যানার শোভা দিয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর