[email protected] বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
২৫ পৌষ ১৪৩১

৮ দিনে ভারত থেকে ৯৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ৮:২৬ পিএম

ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৮ দিনে ভারত থেকে ৯৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশের বাজারে চালের পাইকারি ও খুচরা দাম কমলেও, আমদানি মূল্য বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাল আমদানিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে।

আমদানিকারকরা জানান, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিনাশুল্কে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। তবে, আমদানির জন্য নির্ধারিত সময় ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব চাল আমদানি করতে হবে, কিন্তু দেশের বাজারের পাইকারি দাম এবং ভারতের বাজার থেকে আমদানি করা চালের দাম পরস্পর বিপরীত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৩০টি ট্রাকে ভারত থেকে মোট ৯৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সর্বশেষ ১০৫ মেট্রিক টন স্বর্ণা (মোটা) চাল আমদানি করা হয়েছে। শুল্কায়ন শেষে বুধবার এসব চাল বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে।

যশোরের শার্শা উপজেলার চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অর্ক ট্রেডিং দুই হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং তিন হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ মোটা চাল আমদানি করার অনুমোদন পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০০ মেট্রিক টন সেদ্ধ স্বর্ণা চাল আমদানি করেছে, যার প্রতি কেজি আমদানি মূল্য পড়েছে ৫১ টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ৫৩ টাকা প্রতি কেজি পড়েছে। অথচ দেশে এই স্বর্ণা চাল পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি এক টাকা লোকসান দিয়ে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।

অর্ক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান বলেন, "আমরা ৫৩ টাকা কেজি দরে মোটা চাল আমদানি করেছি, কিন্তু বাজারে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ হাজার টন চাল আমদানি করা কঠিন হয়ে পড়বে।"

যশোরের শার্শার চাল আড়তগুলো থেকে জানা গেছে, বুধবার সেদ্ধ স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা কেজি দামে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নাভারণ বাজারের সবচেয়ে বড় চাল আড়ত চৌধুরী রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, "আজ হাইব্রিড মোটা চাল ৪৯ টাকা এবং স্বর্ণা মোটা চাল ৫১ টাকা কেজি পাইকারি দামে বিক্রি হয়েছে। নতুন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে, ফলে দাম কমতে থাকবে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে এবারের চালের উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানির প্রভাব বাজারে থাকবে।"

বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৮ দিনে ৩০টি ট্রাকে ৯৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও চালের চালান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর