চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রামের ৭৪টি আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করছেন এবং আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল আমিন, হেফাজত নেতা হারুন ইজাহার প্রমুখ।
এদিকে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত তার জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে তার মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন, যা আদালতের প্রাঙ্গণে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
এসআর
মন্তব্য করুন: