[email protected] শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
২৬ পৌষ ১৪৩১

ফ্যাসিবাদের ‘দোসর’ হারুনের মুক্তি চায় স্বেচ্ছাসেবক দল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ৮:২৭ পিএম

ফাইল ছবি

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির কর্মচারী হারুন উর রশীদ গ্রেফতার হওয়ার পর তা নিয়ে নানা ধরণের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

 প্রশ্ন উঠেছে, হারুন কোন দলের নেতা?

নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল হারুনকে তাদের নেতা হিসেবে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে, তবে ফেঞ্চুগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা হারুনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

হারুনের মুক্তির দাবিতে গতকাল মানববন্ধন আয়োজন করা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানির কর্মী হারুনকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এর আগে, সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ গ্রামের মাছুম আহমদ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ১৭ নম্বর আসামি হিসেবে নাম উঠে আসে হারুনের।

এদিকে, হারুনের গ্রেফতার নিয়ে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, হারুনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ রনি হারুনের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দাবি করেছেন।

অপরদিকে, ফেঞ্চুগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতারা হারুনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শনিবার দুপুরে, ফেঞ্চুগঞ্জে কিছু শ্রমিক কর্মচারী হারুনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করতে চাইলে, এতে বাধা দেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হারুনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি প্রকাশিত হয়। ছবিতে দেখা যায়, হারুন ২০২১ সালে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবের পক্ষে কাজ করেছেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক এহসান সাহেদ বলেন, "হারুন একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। তিনি অনেকগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন। তাকে গ্রেফতারের পর আমরা তার মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছি। কিন্তু আমাদের দাবি নস্যাৎ করতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বাধা দিয়েছেন।"

এছাড়া, সিবিএ নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনে হারুনের কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা চলছে। সিবিএ নির্বাচনের প্রার্থী এসএম নাঈমুল করিম খসরু বলেন, "আমরা মানববন্ধন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই বলছেন হারুন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল, কিন্তু তিনি নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তবে এটি বুঝতে হবে যে, অনেক সরকারি চাকরিজীবী বিভিন্ন কারণে দলের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হন।"

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান খান বলেন, "হারুনকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে তদন্ত চলছে।"

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর